নিজস্ব প্রতিবেদক:
মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকে নির্বাচনের পর দিন ২৭ জানয়ারী পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠানের জন্য৭ ধরণের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সোমবার (২৫ জানুয়ারী) রাতে এ সংক্রান্ত একটি গণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচনের আগের অর্থ্যাৎ ২৬ জানুয়ারী মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকে নির্বাচনের পর দিন অর্থাত ২৭ জানয়ারী পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। যানবাহনগুলো হলো- ট্রাক, পিক আপ, বেবী টেক্সী/অটোরিক্সা/ইজিবাইক, মাইক্রোবাস, কার ও জীপ।
যদিও গত রবিবার চট্টগ্রামে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, ‘গণপরিবহন চলাচলে কোনো বাধা থাকবে না। শুধু মোটরসাইকেল ও ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রাখা হয়েছে। কেননা, মোটর সাইকেলে করে বহিরাগতরা ভোট কেন্দ্রে চলে আসে৷ এছাড়া ট্রাকে করেও আসে৷ তবে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে যাতে মানুষের সমস্যা না হয়।’
তবে সিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ট্রাক, পিক আপ, বেবী টেক্সী/অটোরিক্সা/ইজিবাইক, মাইক্রোবাস, কার ও জীপ। এই ৬ ধরণের যানবাহনের পাশাপাশি ২৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত থেকে ২৮ জানুয়ারি সকাল ৬ টা পর্যন্ত মোটর সাইকেল চলাচলের উপরও নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উপরোল্লিখিত নিষেধাজ্ঞা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাঁদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশী বিদেশী পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য। তাছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশীও বিদেশী সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনে বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরী কাজ যেমন- এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রম ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
এছাড়া জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহ সহ অন্যান্য জরুরী প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। নগর পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ মো. আব্দুর রউফ বলেন, ‘উল্লেখিত নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’