দীর্ঘ ১৪ মাস পর উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কমিটি হল ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট।
এর আগে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে শুধুমাত্র এম এ সালাম সভাপতি ও শেখ আতাউর রহমান আতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে কমিটি অনুমোদনের কথা নিশ্চিত করলেও অনুমোদিত কমিটি মিডিয়ায় প্রকাশে অনিচ্ছার কথা জানিয়ে আতা নিউজনাউকে বলেন, ‘আমরা কমিটির তালিকা মিডিয়ায় দিব না। এক বছর আগে থেকেই এসব মিডিয়ায় আছে। নেতাদের কল করে জানিয়ে দিব আমরা।’ উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালামকে বেশ কয়েকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটির সেই তালিকা এসেছে নিউজনাউয়ের হাতে। কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে সাবেক সফল মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপির নির্দেশনা ছিল বলে জানা গেছে। এছাড়াও দলের যুগ্ম সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। নতুন কমিটির ১১ জন সহসভাপতি, ৩ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ৩ জন সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ৩৫ জনকে কার্যনির্বাহী সদস্য করা হয়েছে। সদস্য করা হয়েছে রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে। ২ ও ৩ নম্বর সদস্য করা হয়েছে মাহফুজুর রহমান মিতা এমপি ও দিদারুল আলম এমপিকে। পূর্ণাঙ্গ কমিটির সহসভাপতিরা হলেন অধ্যাপক মো. মঈনুদ্দিন, অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন, মহিউদ্দিন আহমেদ রাশেদ, আবুল কালাম আজাদ, মো. রফিকুল ইসলাম, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, আবুল কাশেম চিশতী, এহেসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, স্বজন কুমার তালুকদার ও জসীম উদ্দিন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৩ জন হলেন নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বাহার, দেবাশীষ পালিত ও জসীম উদ্দিন শাহ। সাংগঠনিক সম্পাদক ৩ জন হলেন খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি, মহিউদ্দিন বাবুল ও নজরুল ইসলাম তালুকদার। কোষাধ্যক্ষ আফতাব খান অমি। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রদীপ চক্রবর্তী, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জেবুন নেছা জেসি, দপ্তর সম্পাদক নুর খান, উপ দপ্তর সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. আলী শাহ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার প্রিয়াংকা আহসান প্রিয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক জাফর আহমদ, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নাজিমুদ্দিন তালুকদার, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবু তালেব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হোসেন নয়ন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মেজবাহ উল আলম লাভলু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আলাউদ্দিন সাবেরী, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. হারুণ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. সেলিম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মহসীন জাহাঙ্গীর, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ইদ্রিস আজগর, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহজাহান সিকদার এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. মোস্তফা। কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন নুরুল আলম চৌধুরী, মো. আবুল বশর, মো. গিয়াস উদ্দিন, ডা. শেখ শফিউল আজম, ইউনুচ গনি চৌধুরী, শওকত আলম, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, বেদারুল আলম চৌধুরী, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান রুহেল, কাজী মো. ইকবাল, মো. ইদ্রিস, ইফতেখার হোসেন চৌধুরী বাবুল, দিদারুল আলম বাবুল, মো. আলী খসরু, আফতার হোসেন খান, ডা. নুরুদ্দিন জাহেদ, রুস্তম আলী, মহিউদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সরওয়ার হাসান জামিল, মো. সেলিম উদ্দিন, শাহেদ সরওয়ার শামীম, ভূপেশ বড়–য়া, সরওয়ার্দ্দী সিকদার, গোলাম রব্বানী, ফেরদৌস হোসেন আরিফ, আবদুল হালিম, রাজিবুল হাসান সুমন, বখতিয়ার সাঈদ ইরান, হাসিবুল সোহাদ চৌধুরী শাকিব, আফতার উদ্দিন মাহমুদ পারভেজ ও মনজুর মোরশেদ ফিরোজ। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়, কমিটিতে রাঙ্গুনিয়া থেকে ১২ জন, ফটিকছড়ি থেকে ১৩ জন, হাটহাজারী থেকে ১১ জন, মীরসরাই থেকে ১১ জন, সীতাকু- থেকে ৯ জন, রাউজান থেকে ১১ জন, সন্দ্বীপ থেকে ৮ জন নির্বাচিত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ৩৬৬ জন কাউন্সিলরের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি পদে এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ আতাউর রহমানকে বিজয়ী করেন। কাউন্সিল অধিবেশনে ভোটাভুটিতে সভাপতি পদে বিজয়ী এমএ সালাম পেয়েছিলেন ২২৩ ভোট ও নিকটতম এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী পেয়েছিলেন ১২৯ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী শেখ আতাউর রহমান পেয়েছিলেন ১৯৬ ভোট এবং গিয়াস উদ্দিন পান ১৫৪ ভোট।