ঢাকা অফিস
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর দেয়া স্বাধীনতার ঘোষণা এম এ হান্নান পাঠ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ২৭ মার্চ চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতারা সেনাবাহিনীর একজন অফিসারকে দিয়ে ঘোষণাটি পাঠ করানোর সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য প্রথমে মেজর রফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি রণাঙ্গনে ব্যস্ত থাকায় পরে কালুরঘাট অতিক্রম করে পটিয়ার দিকে যাত্রাকারী মেজর জিয়াউর রহমানকে বোয়ালখালী থেকে খুঁজে এনে ঘোষণাটি পাঠের দায়িত্ব দেয়া হয়।
বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বেতার সদর দপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। এসময় মন্ত্রী যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বেতারের ভূমিকা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলেও মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, সচিব খাজা মিয়া এবং বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আহমেদ কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শুনেছেন, তারা জানেন মুক্তিকামী এদেশের মানুষের মাঝে কি উদ্যম-উদ্দীপনা জাগাতো সে সময়ের অনুষ্ঠান।
আর মানুষ কি উন্মুখ হয়ে থাকতো তা শোনার জন্য।
‘বঙ্গবন্ধুর দেয়া স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথম এম এ হান্নান পাঠ করেন’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।
এবছর ইউনেস্কো ঘোষিত দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘নতুন বিশ্ব নতুন বেতার’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী জানান, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ বেতার এখন মোবাইল অ্যাপসে শোনা যায়। এ পর্যন্ত দেশের ৮টি বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান অ্যাপসের আওতায় এসেছে।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনুষ্ঠান দেশব্যাপী সম্প্রচার শুরু হয়েছে।
এসময় জিয়াউর রহমানের খেতাব প্রত্যাহার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। তার কাছে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অফিসার পাকিস্তানের পক্ষে তার ভূমিকার জন্য প্রশংসা করে চিঠি লিখেছিল এবং জিয়া স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীদের পুনর্বাসন করেছেন। যে শাহ আজিজুর রহমান পাকিস্তানের ডেপুটি লিডার হিসেবে জাতিসংঘে পাকিস্তানের পক্ষে ওকালতি করেছেন, তাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন, যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। সুতরাং ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন।
তার খেতাব বাতিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ‘