রুপন দত্ত – আনোয়ারা, প্রতিনিধি
মুজিববর্ষ উপলক্ষে আনোয়ারাসহ সারাদেশে একযোগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ২২৫টি মুজিব কিল্লা তৈরি করছেন। এসব ভিতিপ্রস্তর স্থাপন ও নির্মাণ কাজের গণভবন থেকে রোববার দুপুরে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেন আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর হাসান চৌধুরী ও সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রাশিদুল হক ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম।
আনোয়ারা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম জানান, সারা দেশের সঙ্গে আনোয়ারার বটতলী ইউনিয়নের আইর মঙ্গলে ১টি, রায়পুর ইউনিয়নের পূর্ব গহিরায় ১টি, জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের মধ্যম জুঁইদন্ডীতে ১টি ও পূর্ব জুঁইদন্ডীতে ১টিসহ ৪টি মুজিব কিল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিটি মুজিব কিল্লা বাস্তবায়নে সরকারের বরাদ্দ ২ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগামী ২ মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হবে। “দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দুর্যোগ সহনীয় টেকসই নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় পরিকল্পিতভাবে কাঠামোগত ও অকাঠামোগত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
‘উপকূলীয় এলাকায় বয়স্ক, গর্ভবতী, শিশু ও প্রতিবন্ধিতাবান্ধব বহুমুখী এসব ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে বিপদাপন্ন মানুষ এবং গবাদি পশুর আশ্রয় গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাদের গবাদি পশুসহ এসব আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় আশ্রয় নিতে পারছেন বলে জানা যায়।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, আনোয়ারার উপকূলে ৪টি মুজিব কিল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। উপকূলীয় দুর্গত জনগণ যেমন সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে তেমনি তাদের প্রাণিসম্পদকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারবে।’ এছাড়া জনসাধারণের খেলার মাঠ, সামাজিক অনুষ্ঠান ও হাট-বাজার হিসেবেও এগুলো ব্যবহার করা যাবে।
আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী বলেন, মাননীয় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির প্রচেষ্টায় আনোয়ারার উপকূলবাসীকে রক্ষা করতে ৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়ণ কেন্দ্র মুজিব কিল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখানে দুর্যোগে আশ্রয়ণ ছাড়াও কম খরচে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানও করতে পারবেন এলাকাবাসী।