কলকাতা প্রতিনিধি
রাজ্যে ক্রমশ চওড়া হচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের থাবা। এখনও পর্যন্ত রাজ্য কালো ছত্রাকে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ জন এবং ৮ জন সন্দেহভাজন রোগী রয়েছেন, এমনটাই জানাচ্ছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।
করোনা সংক্রমণে জেরবার গোটা রাজ্য। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বাংলায় একপ্রকার লকডাউন জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ।কীভাবে এড়ানো সম্ভব এই মারণ রোগ? এবার সেই সম্পর্কিত নির্দিষ্ট গাইডলাইন জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইনে বলা হয়েছে, এই সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক যথাযথভাবে পড়তে হবে। বিশেষ করে ধুলোবালিময় এলাকা বা নির্মাণস্থানে গেলে বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। বাগানে বা মাটি নিয়ে কাজ করলে জুতো, লম্বা ঝুলের ট্রাউজার, ফুলহাতা জামা, গ্লাভস পরতে হবে। স্ক্রাবার দিয়ে গা ঘষে স্নান করতে হবে। সাবান ব্যবহার করতে হবে। অক্সিজেন দিতে হলে হিউমিডিফায়ারে পরিশুদ্ধ জল ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ওষুধ বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ছত্রাক প্রতিরোধী ওষুধ খাবেন না। সিটি স্ক্যান, নাকের এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে রোগীর নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রয়োজনে শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে গুরুতর সংক্রমিত এলাকা বাদ দিতে হবে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে জ্বর, চোখে-নাকে ব্যথা, মাথা ব্যখা, নাকের চামড়া বিবর্ণ দেখানো, দেখতে অসুবিধা হওয়া, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কফ, রক্তবমির মতো সমস্যা এমনকি মানসিক ভারসাম্যের সমস্যাও দেখা যেতে পারে। মূলত করোনা পরবর্তী ও ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রায় নজর রাখতে হবে।স্টেরয়েড, অ্যান্টডিবায়োটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ ব্যবহারে সতর্কতা জরুরি। প্রতিটি হাসপাতালকে রেডিওডায়াগনোসিস, ইন্টারনাল মেডিসিন, ইনফেকশন ডিজিজ, ইএনটি, নিউরোলজিস্ট, অপথ্যালমোলজিস্ট, ডেন্টাল সার্জন, ম্যাক্সিলোফেসিয়াল অথবা প্লাস্টিক সার্জন ও এন্ডোক্রিনোলজিস্টদের নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করতে হবে।