নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেছেন, স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে চট্টগ্রামের অবস্থান দৃশ্যনীয়। বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সেবার মান আরো সন্তোষজনক পর্যায়ে নিতে হলে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর জরুরী বিভাগে আগত রোগীদেরকে সাধ্যমত চিকিৎসা সেবা দিতে হবে। আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পাশাপাশি ভর্তিকৃত রোগীদের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা থাকবে। ১৪ জুন সোমবার বিকেলে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত উদ্বোধন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য জরুরী রোগী ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দুই দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যদি কোন রোগীর অবস্থা আশংকাজনক মনে হয় তাহলে বিলম্ব না করে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে। এ ব্যাপারে ডাক্তার-নার্সসহ সংশ্লিষ্টদেরকে আন্তরিক হতে হবে। হাসপাতালে রোগীর শয্যা, চাঁদর, বালিশের কভার ও ফ্লোর সবসময় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নতুন রোগীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ওয়াশ করা চাঁদর, বালিশ দিতে হবে। ২/৩ দিন পরপর প্রত্যেক শয্যার চাঁদর-বালিশ পরিবর্তন করে দিতে হবে। আমরা সকলে আন্তরিক হলে স্বাস্থ্য সেবায় সরকারের ভাবমূর্তি আরো উজ্বল হবে।
জেলা স্বাস্থ্য তত্ত¡াবধায়ক সুজন বড়–য়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার, এমওসিএস ডা. মোঃ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি ও সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ নওশাদ খান। দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে আন্দরকিল্লাস্থ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও জেলার ১৪ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স, নার্স, ব্রাদার, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্টোর কীপার, পরিসংখ্যানবিদ, ক্যাশিয়ার, মেডিকেল টেকনোলজিস্টগণসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন। ####