ঢাকা অফিস
গেল সাত দেশে ৯ লাখেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। সর্বশেষ রোববার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩৫৩ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মাধ্যমে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে গণ টিকাদান শুরু করে সরকার। মাঝে একদিন শুক্রবার টিকাদান বন্ধ ছিল।
কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে এই টিকার দুটি ডোজ নিতে হচ্ছে প্রত্যেককে। সরকার বিনামূল্যে এই টিকা দিচ্ছে। টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে প্রতিদিন সকাল ৮টা বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলছে টিকা দান।
মঙ্গলবার যারা টিকা নিয়েছেন, তাদের ৩২ জনের মধ্যে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস (মেডিকেলে ইনফরমেশন সার্ভিসেস) জানিয়েছে, এ পর্যন্ত যারা টিকা নিয়েছেন, তাদের ৪২৬ জনের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
এমআইএসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার পর্যন্ত সারাদেশে ৯ লাখ ৬ হাজার ৩৩ জন নিয়েছেন টিকা।
এদিন ঢাকা মহানগরের ৪৭টি হাসপাতাল থেকে ২২ হাজার ৯৮২ জন টিকা নিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ১৩২৪ জন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকা নিয়েছেন।
বিভাগভিত্তিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি ৪৫ হাজার ৯১৪ জন টিকা নিয়েছেন ঢাকা বিভাগে। এছাড়া ময়মনসিংহে ৭৩৫৭ জন, চট্টগ্রামে ৩৯ হাজার ৭০৩ জন, রাজশাহীতে ১৮ হাজার ৯৬৫ জন, রংপুরে ১৫ হাজার ২১৮ জন, খুলনায় ১৯ হাজার ৮০২ জন, বরিশালে ৯১৯৮ জন এবং সিলেট বিভাগে ১৩ হাজার ১৯৬ জন টিকা নিয়েছেন।
করোনাভাইরাস মহামারী উৎরাতে দেশের ১৩ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।
সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ টিকা কিনছে সরকার। এই টিকার মধ্যে ইতোমধ্যে ৫০ লাখ ডোজ দেশে এসেছে। ভারত সরকার উপহার হিসেবে দিয়েছে আরও ২০ লাখ টিকা।
৭০ লাখ ডোজ টিকার ৩৫ লাখ মানুষকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি গণ টিকাদান শুরু হয়। ৪০ বছরের বেশি বয়সীরা অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা নিতে পারছেন।
ঢাকাসহ সারা দেশে ১০১৫টি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে ঢাকার ৫০টি কেন্দ্র রয়েছে। ঢাকায় ২০৪টি এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ১৯৬টি স্বাস্থ্যকর্মীর দল এসব কেন্দ্রে সরাসরি টিকা প্রয়োগ করছেন।
ধারাবাহিকভাবে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে মোট ৭ হাজার ৩৪৪টি দল প্রস্তুত রেখেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রতিটি দল দৈনিক ১৫০ জনকে টিকাদান করতে পারবে। সে হিসেবে দৈনিক তিন লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের।